ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাচার উপায়

আসসালামু আলাইকুম। আজ আলোচনা করব কিভাবে কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখা যায়।
আমরা জারা ল্যাপটপে ইন্টারনেটে ব্যাবহার করি,তাদের কাছে ভাইরাস একটি মারাত্মক সমস্যা।তবে বিভিন্ন কারনেও ল্যাপটপ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে
পারে।তাই পরিচর্চা ও সচেতনতাই ল্যাপটপকে রক্ষা করতে পারে।


*বর্তমানে ইন্টারনেটে এন্টিভাইরাস রুপে কিছু সফটওয়্যার আছে,সেগুল মুলত ভাইরাস।আপনি ইন্টারনেট ব্যাবহারের সময় মাজে মধ্যে দেখবেন আপনার
কম্পিউটার ভাইরাসে ভরে গেছে।আপনার কোন ড্রাইভে কি ভাইরাস এবং কত শতাংশ ভাইরাস তাও দেখিয়ে দিবে এবং এখুনি ভাইরাসগুল দূর না করলে
ভীষণ বিপদ ঘটে যাবে। এসব বার্তায় ক্লিক করলেই সর্বনাস।তাই ভুলেও এসব বার্তায় ক্লিক করবেন না।
*রিমুভাল ড্রাইভ (মেমরি কার্ড,পেনড্রাইভ,ডেটা ক্যাবল,হার্ডডিস্ক)এই সবের মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদানের সময় বেশী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
এগুলো ল্যাপটপে প্রবেশ করালে এন্টিভাইরাস দীয়ে অবশ্যই স্ক্যানিং করতে হবে।
*কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ইনস্টল করলেই হবেনা।এন্টিভাইরাস নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
*রিমুভাল ডিস্ক ফোল্ডারের মত কখনও দুই ক্লিকে খোলা যাবেনা,এতে ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।ডান ক্লিক করে ফোল্ডারে ক্লিক করে খুলবেন।
*সব সময় ইজেক্ট ডিস্কে ক্লিক করে রিমুভাল ডিস্ক কম্পিউটার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবেনা।সব ধরনের চালু থাকা ট্যাব বন্দ করে খুলুন।
*কম্পিউটারে একটির বেশী এন্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখা ঠিক না,এতে কম্পিউটার ধীর গতি সম্পন্ন কাছ করবে।
*কম্পিউটারে অযথা সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখবেন না।কম্পিউটারে সফটওয়্যারের সাথে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
*সব সময় কম্পিউটারের ব্লু-টুথ চালু রাখবেন্না।কাজ শেষে বন্দ করে ফেলুন।
*টেম্প ফাইল অনেক দিন জমা হয়ে থাকলে ভাইরেসে রুপ নিতে পারে,তাই রানে গিয়ে এগুলো মুছে ফেলুন।জদি কোনকারনে ফাইলটি মুসতে না পারেন,
তাহলে আনলকার নামের ফাইলটি দিয়ে আনলক করে নিন,তার পর ডিলিট করুন।
*কখনো সার্ভারে যুক্ত এমন ল্যাপটপে সব ধরনের কাজ করবেন না,তাহলে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতে পারে। দরকার হলে একটি ভালো
লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে নেবেন এবং নিয়মিত নেট থেকে হালনাগাদ করে নিবেনদি* অটো আপডেট সুবিধা এনাবল (সক্রিয়)করে রাখবেন।
*সব ধরনের ওয়েবসাইটে ইন্টারনেটে না যাওয়াই ভালো।মেইলের বিভিন্ন স্প্যামযুক্ত ই-মেইলগুলো ওপেন করবেন না।
*যদি এন্টিভাইরাস অনেক দিন কম্পিউটারে ফেলে রাখেন,তাহলে অনেক সময় সেগুলো ভাইরাসে রুপ নিতে পারে।
* কখনই ভাইরাস ভাইরাস করে অপারেটিং সিস্টেম দিতে যাবেন না,প্রাথমিক কাজগুলো আগে নিয়মিত করুন,
 তাহলে হয়ে যাবে। পারলে মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স ব্যবহার শুরু করে দিন।
*ল্যাপটপে পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে USB সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করুন বা অটো প্লে বন্ধ রাখুন।

আজ এপর্যন্তই পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো সে পর্যন্ত মডার্ন টেকনোলজিতে চোখ রাখুন।

Comments