ইয়াজুজ মাজুজের আবির্ভাবের পর হযরত ঈসা (আঃ) ও তাঁর সহচর-অনুচরগণ এরূপ দুর্ভিক্ষ ও সংকটের সম্মুখীন হবেন যে, একটি গরুর মাথা একশত স্বর্ণ মুদ্রায় পর্যন্ত বিক্রি হবে। এ বিপদ থেকে উদ্ধারকল্পে হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ্র দরবারে মোনাজাত করবেন। আল্লাহ্ তাঁর দোয়া কবুল করতঃ ইয়াজুজ-মাজুজের মধ্যে ফোঁড়া বা গুটিকা বিশেষ এক প্রকার ভীষন সংক্রামক রোগ প্রেরণ করবেন। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এক রাতের মধ্যে সবাই মৃত্যুম্নুখে পতিত হবে।
হযরত ঈসা (আঃ) এ খবর শুনে সত্যতা নিরূপণ করার জন্য কিছু লোককে দুর্গের বাইরের পাঠাবেন। তারা বাইরে এসে দেখবেন, সর্বত্র ইয়াজুজ মাজুজ মরে আছে। তাদের দেহ ফুলে তিন চার গুণ মোটা হয়ে গেছে এবং ভীষণ দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। তারা ফিরে গিয়ে হযরত ঈসা (আঃ) - কে সংবাদ জানাবার পর অনেকেই দুর্গের বাইরে চলে আসবে। কিন্তু বাইরে এসেও ইয়াজুজের দেহের দুরগন্ধে টিকতে পারবে না। অতঃপর হযরত ঈসা (আঃ) এ দুর্গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ্র নকট পুনারায় মোনাজাত করবেন। কারণ, মৃত দেহ এত বেশী হবে যে, আল্লাহ্র কুদরত ব্যতীত দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না। আল্লাহ্র কুদরতে বিরাট আকারের হাজার হাজার পাখী এসে এক একটা মৃত দেহ খাবে আর বাকী মৃত দেহগুলোকে ঊঠিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর আল্লাহ্র রহমতে চল্লিশ দিন যাবত মুষলধারে বৃষ্টি হবে। এ বৃষ্টির পানিতে ঐ সকল মৃত দেহের পচা রস-রক্তসহ পরিষ্কার হয়ে সমগ্র দেশে দুর্গন্ধ মুক্ত হবে। পক্ষান্তরে এ বৃষ্টিতে মৃত দেহের পুঁজ রক্ত মৃত্তাকার ভিতরে প্রকাশ করে ভূমির উর্বরতা দশ গুন বৃদ্ধি করবে। ফলে প্রচুর ফলমূল ও শস্যাদি উৎপন্ন হবে। আরও সুখের বিষয়, মানুষের অন্তর থেকে ক্রোধ, লোভ, হিংসা, নিষ্ঠুরতা পরশ্রীকাতরতা প্রভৃতি শয়তানী অভ্যাস দূর হয়ে যাবে। সারা দুনিয়ায় তখন শুধু ইমানদার ব্যতীত কোন পাপী লোকের অস্তিত্ব থাকাবে না। ঐ সময় লোকেরা এত সুখে- শান্তি ভোগ করবে যে, পূর্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনদের জন্য করে বলবে, আহ। এ সময় যদি আমার অমুক আত্মীয় বেচে থাকত তবে কতই না আনন্দের বিষয় হত। ঐ সময় মানুষ তো দুরের কথা-হিংস্র পশু ও সাপ বিচ্ছু পর্যন্ত কারো অনিষ্ট করবে না। সবাই আল্লাহ্র এবাদতে লিপ্ত থাকবে। ইয়াজুজ মাজুজের পরিত্যক্ত তলোয়ারের খাপ, তীর- ধনুকগুলোর সংখ্যা এত অধিক হবে যে পাচ-সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মানুষ পুনরায় আস্তে আস্তে কুপ্রবৃত্তির দাস হবে পাপ পথে অগ্রসর হতে থাকবে।
সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ৯৬-৯৭)
বাকি পর্ব গুলো পড়ুন
ইয়াজুজ মাজুজের মৃত্যু |
হযরত ঈসা (আঃ) এ খবর শুনে সত্যতা নিরূপণ করার জন্য কিছু লোককে দুর্গের বাইরের পাঠাবেন। তারা বাইরে এসে দেখবেন, সর্বত্র ইয়াজুজ মাজুজ মরে আছে। তাদের দেহ ফুলে তিন চার গুণ মোটা হয়ে গেছে এবং ভীষণ দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। তারা ফিরে গিয়ে হযরত ঈসা (আঃ) - কে সংবাদ জানাবার পর অনেকেই দুর্গের বাইরে চলে আসবে। কিন্তু বাইরে এসেও ইয়াজুজের দেহের দুরগন্ধে টিকতে পারবে না। অতঃপর হযরত ঈসা (আঃ) এ দুর্গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ্র নকট পুনারায় মোনাজাত করবেন। কারণ, মৃত দেহ এত বেশী হবে যে, আল্লাহ্র কুদরত ব্যতীত দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না। আল্লাহ্র কুদরতে বিরাট আকারের হাজার হাজার পাখী এসে এক একটা মৃত দেহ খাবে আর বাকী মৃত দেহগুলোকে ঊঠিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর আল্লাহ্র রহমতে চল্লিশ দিন যাবত মুষলধারে বৃষ্টি হবে। এ বৃষ্টির পানিতে ঐ সকল মৃত দেহের পচা রস-রক্তসহ পরিষ্কার হয়ে সমগ্র দেশে দুর্গন্ধ মুক্ত হবে। পক্ষান্তরে এ বৃষ্টিতে মৃত দেহের পুঁজ রক্ত মৃত্তাকার ভিতরে প্রকাশ করে ভূমির উর্বরতা দশ গুন বৃদ্ধি করবে। ফলে প্রচুর ফলমূল ও শস্যাদি উৎপন্ন হবে। আরও সুখের বিষয়, মানুষের অন্তর থেকে ক্রোধ, লোভ, হিংসা, নিষ্ঠুরতা পরশ্রীকাতরতা প্রভৃতি শয়তানী অভ্যাস দূর হয়ে যাবে। সারা দুনিয়ায় তখন শুধু ইমানদার ব্যতীত কোন পাপী লোকের অস্তিত্ব থাকাবে না। ঐ সময় লোকেরা এত সুখে- শান্তি ভোগ করবে যে, পূর্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনদের জন্য করে বলবে, আহ। এ সময় যদি আমার অমুক আত্মীয় বেচে থাকত তবে কতই না আনন্দের বিষয় হত। ঐ সময় মানুষ তো দুরের কথা-হিংস্র পশু ও সাপ বিচ্ছু পর্যন্ত কারো অনিষ্ট করবে না। সবাই আল্লাহ্র এবাদতে লিপ্ত থাকবে। ইয়াজুজ মাজুজের পরিত্যক্ত তলোয়ারের খাপ, তীর- ধনুকগুলোর সংখ্যা এত অধিক হবে যে পাচ-সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মানুষ পুনরায় আস্তে আস্তে কুপ্রবৃত্তির দাস হবে পাপ পথে অগ্রসর হতে থাকবে।
সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ৯৬-৯৭)
বাকি পর্ব গুলো পড়ুন
- মৃত্যু সৃষ্টির রহস্য
- আত্মা কবজের পদ্ধতি
- মালাকুল মউতের মৃত্যু
- নির্ধারিত স্থানে আত্মা কবয করা হবে
মৃত্যুর পূর্বে যমিন ও কবরের ঘোষণা
মুমূর্ষু ব্যক্তির অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের বাধাদান
আযরাইল (আঃ) -এর সাথে আত্মার কথোপকথন
মুমূষু ব্যাক্তির সাথে ফেরেশতাদের কথাবার্তা
কেরামান কাতেবীনের পরিচয়
মৃত্যুর কঠোরতা
যে কাজ মৃত্যুর পর তারাতারি বেহেশতে পোছায়
জীবিত থাকার চেয়ে মৃত্যু উত্তম
মৃত্যুর সময় শয়তানের প্রলোভন
ইমাম আবু জাফর কুরতুবীর মৃত্যু এবং শয়তানের উপস্থিতি
মৃত্যুর সময় শয়তানের প্রতারণায় পড়ার করণ
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ধর্মোপদেশ
মুমেন ও কাফেরের আত্মা কবজের ব্যবধান
Comments
Post a Comment
আপনার ভালো কমেন্টের জন্য লেখক কে আরো সুন্দর পোস্ট লিখতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।