হাশরের বর্ণনা

'হাশর' আরবী শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ একত্র করা। কেয়ামতের দিন সকল সৃষ্টিকে এক স্থানে একত্র করা হবে,  এজন্য একে হাশর বলা  হয়।
কোরআনে করীমে ও হাদীস শরীফে এর অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান। পবিত্র কালামে আল্লাহ্‌ তাআলা ঘোষণা করেন-
উচ্চারনঃ-ওয়া ইয়াওমা নাহশুরুহুম জামিআ।
অর্থঃ- এবং যেদিন আমি তাদের সকলকে একত্র করব। অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে-
উচ্চারনঃ- ওয়া ইয়াওমা নাহশরুল মুত্তাকী-না ইলার রাহমানি ওয়াফদা।
অর্থঃ- এবং যে দিন আমি রহমানের নিকট মোত্তাকীদের জামাআতবন্দী করে একত্র করব।
তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে, হাশর মোট চারটি, দু'টি আখেরাতে। দুনিয়ার একটি হল- যেমন কোরআন কারিমে এরশাদ করেছেন-
উচ্চারনঃ- হুয়াল্লাযী আখরাজাল্লাযীনা কাফারূ মিন আহলিল কিতাব মিনা দিয়ারিহিম লি-আউয়ালিল হাশরি।
অর্থঃ-তিনিই (আল্লাহ্‌) কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের তাদের বাড়িঘর থেকে বহিষ্কার করেছেন।-(সূরা হাশর-২)
হাশরের বর্ণনা
হাশরের বর্ণনা
 দুনিয়ার দ্বিতীয় হাশর কেয়ামতের পূর্বক্ষণের অন্তর্ভুক্ত, যা বোযায়ফা ইবনে উসাইদ (রাঃ)- এর এক হাদীসের শেষে নিম্নোত্তরূপে উল্লেখ রয়েছেঃ
উচ্চারনঃ-নারুন তাখরুজ মিন কা'রি আদনিন তাসুকুন্নাসা ইলাল মাহশার।
অর্থঃ- কেয়ামতের সর্বশেষ আলামত-ইয়ামেনে হতে এমন এক অগ্নি বের হবে যা মানুষদেরকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হাওয়ার স্থানে (অর্থাৎ সিরিয়ায়) নিয়ে যাবে।
আখেরাতের প্রথম হাশর হল, সকল মানুষ নিজ নিজ কবর হতে উঠে আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হবে। আর দ্বিতীয়টি হল বেহেশতে বা দোযখে একত্র হওয়া।
হাদীসঃ- হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, কেয়ামতের দিন মানুষদেরকে নগ্নপদে ও খতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে।তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! নারী-পুরুষ সকলেই কি একজন আরেক জনের লজ্জাস্থান দেখতে থাকবে? তিনি বললেন! হে আয়েশা! সে সময়টি এত ভয়ানক হবে যে, কেউ কারো প্রতি দৃষ্টি দিবার অবকাশ পাবে না। -(বোখারী ও মুসলিম)
হাদীসঃ-হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, কেয়ামতের দিন সকল মানুষ ঘার্মাত্ত হয়ে পড়বে, তাদের ঘাম যমীনের সত্তর গজ পর্যন্ত চড়িয়ে যাবে, এমনকি তা তাদের কর্ণদ্বয় পর্যন্ত পৌছে লাগামে পরিণত হবে।-(বোখারী ও মুসলিম)
  সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ১০৫-১০৬)

বাকি পর্ব গুলো পড়ুন

Comments