মীযানের বর্ণনা

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন কোরআনে করীমে এরশাদ  করেন-
উচ্চারনঃ- ওয়ালাওয়াযনু ইয়াওমাইযিনিল হাক্কু ফামান সাকুলাত মাওয়াযিনুহু ফাউলাইকাহুম মুফলিহুন, ওয়া মান খাফফাত মাওয়াযীনুহু ফাউলাইকাল্লাযীনা খাসিরূ আনফুসাহুম বিমা কানু বিআতিনা ইয়াযলিমুন।
অর্থঃ- আর সে দিন যথার্থই ওজন হবে। অতঃপর যেদের পাল্লা ভারী হবে তারাই  সফলকাম হবে এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই এমন হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। কেননা, তারা আমার আয়াত সমুহকে অস্বীকার করত।- (সূরা আরাফ, ৮-৯)


মীযানের বর্ণনা
মীযানের বর্ণনা


হাদীসঃ- হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আকদা তিনি দোযখের কথা স্মরণ করে কেঁদে ফেললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাদছ কেন? তিনি (আয়েশা) বললেন। দোযখের কথা স্মরণ হয়েছে তাই কাঁদছি।(আচ্ছা বলুন তো,) কেয়ামতের দিন আপনি আপনার পরিবার- পরিজঙ্কে স্মরণ করবেন কি? জবাবে নবী করীম (সাঃ) বলেন, (হে আয়েশা)! জেনে রাখ, তিনটি জায়গা এমন হবে যেখানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। তার একটি মীযানের কাছে, যেখানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না। তার একটি মীযানের কাছে, যেখানে কেউ কাউকে স্মরণ করবে না যতক্ষন সে একথা না জানবে যে, তার আমলের পাল্লা ভারী রয়েছে না হাল্কা। দ্বিতীয়টি আমলনামার দফতরে, যখন তাকে বলা হবে আরে অমুক! এই নাও তোমার আমলনামা এবং তা পড়ে দেখ। যে পর্যন্ত না সে একথা জানাবে যে তা তাকে ডান হাতে দেয়া হয়াছে না বাম হাতে দেয়া হয়েছে? আর তৃতীয় হল পুলসেরাত। যখন তা দোযখের উপর স্থাপন করা হবে।-(আবু দাঊদ শরীফ)
  সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ১০৮)

বাকি পর্ব গুলো পড়ুন

Comments