হজরত দাঊদ (আ.) মৃত্যুর পর সুযোগ্য পুত্র সুলায়মান তার স্থলাভিষিক্ত হন। শেষনবী মুহাম্মাদ (সা.) এর আবির্ভাবের নূন্যাধিক দেড় হাজার বছর পূর্বে তিনি নবী হন। সুলায়মান ছিলেন পিতার ১৯ জন পুত্রের অন্যতম। আল্লাহ পাক তাকে জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় ও নবুওয়াতের সম্পদে সমৃদ্ধ করেন। এছাড়াও তাকে এমন কিছু নেয়ামত দান করেন, যা অন্য কোনো নবীকে দান করেননি। ইমাম বাগাভী ইতিহাসবিদগণের বরাতে বলেন, সুলায়মানের (আ.) মোট বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তের বছর বয়সে রাজকার্য হাতে নেন এবং শাসনের চতুর্থ বছরে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি ৪০ বছর কাল রাজত্ব করেন। তার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো তিনি পিঁপড়ার সাথে কথা বলেছিলেন।
কুরআনের বৈজ্ঞানিক মর্মস্পর্শী : কুরআনের এক হাজার আয়াত আছে যেগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন। এই ক্ষেত্রে যেটা দেখা গেছে সেটা হচ্ছে কুরআন যা বলেছে যে বিষয়ে যা বলেছে সেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিল রয়েছে। অবশ্য অনেক মনে করেন যে ধর্ম এবং বিজ্ঞান দুটি পৃথক বিষয়। একটির সাথে অপরটির কোনো মিল নেই। তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। তবে কুরআনের আয়াতগুলোকে বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্বাস করলে হবে না। কুরআনের আয়াতকে বিশ্বাস করতে হবে সেগুলো যদি বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় তবে ভালো। কোনো কারণে সেগুলো বিজ্ঞানের সাথে না মিললেও কুরআনের আয়াতগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে।
Comments
Post a Comment
আপনার ভালো কমেন্টের জন্য লেখক কে আরো সুন্দর পোস্ট লিখতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।