মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ধর্মোপদেশ





















হযরত আবু সাঈদ ও হযরত আবু হোরায়েরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হুযুর  (সাঃ) এরশাদ করেন- যেব্যক্তির মৃত্যু নিকটে আসে জায়, তাঁকে কালেমা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র তালকিন কর। - (মুসলিম শরীফ) 
উল্লেখিত হাদিসে কথিত তালকিন অর্থ যার মৃত্যু নিকট আসে গেছে তাঁর সম্মুখে অন্য লোকেরা কালেমা ' লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পরতে থাকা, যাতে শুনে সেও পড়তে পারে। কিন্তু তাঁকে বলা যাবে না যে, 'তুমিও পড়।' কেননা, আল্লাহ না করুন যদি সে মৃত্যু কষ্টে পড়তে অস্বীকার করে, তখন ঈমানই চলে যাবে।  (নাঊজু বিল্লাহ)
হাদিসঃ হযরত মালেক ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসূল্লুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের মুর্দার অর্থাৎ যারা মৃত্যুর নিকট আসে গেছে তাঁর সম্মুখে 'সূরা ইয়াসিন পাঠ কর। -(আহামদ, আবু মাঊদ ইবনে মাজা)
হাদিসঃ হযরত মাআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বর্ণিত করেন, হুযুর (সাঃ) এরশাদ করেছেন- যেব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য লাইলাহা ইল্লাল্লাহ হবে,  সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। - (আবু দাঊদ)
হযরত জাবের ইবনে যায়দ (রাঃ) বর্ণনা করেন, মুর্দারের নিকট 'সূরা রাদ' পড়া ভাল। তাতে মুর্দারের মৃত্যু সহজ হয়। এবং তাঁর অবস্থা ঠিক থাকে। হুযুর (সাঃ) কারো মৃত্যুর কিছু পূর্বে এভাবে দোআ করবেন,-হে আল্লাহ। একে মাফ করে দিন এবং আরাম করার স্থান ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক করে দিন, এর কবরকে প্রশস্ত করে দিন, মৃত্যুর পরে তাঁকে আরামে রাখুন, তাঁর আত্মাকে নেককারদের আত্মার সাথে মিলিয়ে দিন। পরকালে আমাকে ও একে কাছাকাছি রাখুন। একে কোন মসিবত ও কষ্টে ফেলবেন না। অতঃপর হুযুর (সাঃ) - এর উপর দারুদ শরীফ পরাবস্থায় ঐ ব্যক্তি ইন্তেকাল করত।
শাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত- আনসারগণ মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে সূরা বাকারা পাঠ করতেন।- (নুরুসসুদূর ফী শরহিল কবুর)

সূত্রঃ  মৃত্যুর আগে ও হাশরের পরে
 আর আগের ও পরের পৃষ্ঠা গুলো না পড়ে থাকলে এখানে ক্লিক করে পড়ুন

Comments