মুমূষু ব্যাক্তির সাথে ফেরেশতাদের কথাবার্তা

হাদীসে শরীফে বণিত আছে, যখন মানুষের অন্তিমকাল উপস্থিত হয় এবং রূহ বের
হবার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চার জন ফেরেশতা তার কাছে উপস্থিত হয়। সর্বপ্রথম
এক ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম! হে অমুক! আমি
তোমার খাদ্য সংস্থানের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন! পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম
প্রান্ত পর্যন্ত অন্বেষণ করেও তোমার জম্য এক দানা খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলাম না।
সুতরাং বুঝলাম, তোমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে, হয়ত এখনই তোমাকে মরণ সুধা পান
করতে হবে না। পৃথিবীতে তুমি আর বেশিক্ষণ থাকবে না।" অতঃপর দ্বিতীয় ফেরেশতা
এসে সালাম করে বলবেন- হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পানীয় সরবরাহের
কাজে নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু এখন তোমার জন্য পৃথিবীর সর্বএ অন্বেষণ করেও এক
ফোঁটা পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং আমি বিদায় হলাম। তৎপর তৃতীয়
ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন- হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পদযুগলের
তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র ঘুরেও তোমার একটি মাত্র পদক্ষেপের
স্থান পেলাম না। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি। চতুর্থ ফেরেশতা এসে সালাম করে
বলবেন- হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার শ্বাস- প্রশ্বাস চালু রাখার কাজে নিযুক্ত
ছিলাম। কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কোন জায়গা খুঁজে পেলাম না যেখানে গিয়ে তুমি
মাত্র এক পলকের জন্য শ্বাস- প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পার। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

অতঃপর কেরামান কাতেবীন ফেরেশতাদ্বয় এসে সালাম করে বলবেন- হে
আল্লাহর বান্দা! আমরা তোমার পাপ- পুণ্য লেখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্ত এখন
দুনিয়ার সব জায়গা সন্ধান করেও আর কোন পাপ- পূণ্য খুঁজে পেলাম না। সুতরাং আমরা
বিদায় নিচ্ছি। এই বলে তারা এক টুকরা কালো লিপি বের করে দিয়ে বলবেন, হে
আল্লাহর বান্দা! এর দিকে লক্ষ্য কর। সে দিকে লক্ষ্য করামাত্র তার সর্বাঙ্গে ঘর্মস্রোত
প্রবাহিত হবে এবং কেউ যেন ঐ লিপি পড়তে না পারে এ জন্য সে ডানে বামে বার
বার দেখতে থাকবে। অতঃপর কেরামান কাতেবীন প্রস্থান করবেন। তখনই মালাকুল
মউত তার ডান পাশে রহমতের ফেরেশতা এবং বাম পাশে আযাবের ফেরেশতা নিয়ে
আগমন করবেন। তাদের মধ্যে কেউবা আত্মাকে খুব জোরে টানাটানি করবেন, আবার
কেউ অতি শান্তির সাথে আত্মা বের করে আনবেন। কন্ঠ পর্যন্ত আত্মা পৌছালে স্বয়ং
যমদূত তা কবয করবেন।

 সুত্রঃ মৃত্যুর আগে ও হাশরের পরে পৃষ্ঠা ১৯-২০
যারা আগের পোস্ট গুলো পড়েননি তারা পড়তে পারেন







Comments