ইমাম মাহদীর মৃত্যু ও হযরত ঈসা (আঃ)-এর খেলাফত

দাজ্জাল ও তার দলকে সমূলে বিনষ্ট করার পর হযরত ঈসা (আঃ) ইমাম  মাহদীকে সঙ্গে নিয়ে দাজ্জালের অত্যাচারিত আলাকাসমূহ পরিদর্শন করার উদ্দেশে বের  হবেন। তারা উভয়ে অত্যাচারিত উৎপীড়িত  মানুষের দুঃখ- দুর্দাশা দর্শন করে আল্লাহ্‌ প্রদত্ত ক্ষমতায় তাদের সর্ব প্রকার দুঃখকষ্ট দূর করবেন  এবং ঈমানদারদেরকে সান্ত্বনা দিবেন যে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর নিকট মহাপুরষ্কার। ঐ সময়ও বিভিন্ন অঞ্চলে কাফের- মোশরেকরা অবশিষ্ট থাকবে। তারা উভয়ে তাদেরকে ইসলামের  দিকে আহ্বান করবেন। তারা ইসলাম গ্রহন করবে, একটি কাফেরও অবশিষ্ট থকবে না। সারা পৃথিবীর খৃস্টানগণ হযরত ঈসা (আঃ)-এর পরিচয় পেয়ে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে তার কাছে দীক্ষা নেয়ার জন্য ছুটে আসবে। কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) তাদেরকে ইমাম মাহদী (আঃ)- এর কাছে বায়াআত গ্রহন করার আদেশ প্রদান করবেন।
ইমাম মাহদীর মৃত্যু ও হযরত ঈসা (আঃ)-এর খেলাফত
ইমাম মাহদীর মৃত্যু ও হযরত ঈসা (আঃ)-এর খেলাফত
অতঃপর  খৃস্টানরা বিনা আপত্তিতে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হবে। ইমাম মাহদী  (আঃ)- এর প্রতিনিধিত্বে সারা বিশ্ব শান্তি- শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। অত্যাচার-অবিচার, চুরি-ডাকাতি, ঝগড়া-বিবাদ প্রভৃতি সমূলে উৎপাদিত হবে। এভাবে প্রতিনিধিত্ব করে ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করবেন।
হযরত ঈসা (আঃ) ইমাম মাহদীর জানাযার নামায পড়াবেন এবং যথারীতি দাফন করবেন। অতঃপর নিজেই খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহন করবেন।
এর কিছু কাল পর আল্লাহ্‌ তাআলা হযরত ঈসা! (আঃ)- এর নিকট ওহী প্রেরণ করবেন হে ঈসা! আমি আমার বান্দাদের মধ্য হতে এমন কতগুলো শক্তিশালী মানবের আবির্ভাব ঘটাবেন, জাদেরকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই। অতএব, তুমি আমার নেক বান্দাদেরকে নিয়ে তুর পর্বতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন কর। অতঃপর ঈসা (আঃ) আল্লাহ্‌র নির্দেশে অগনিত লোকজন সঙ্গে নিয়ে তুর পর্বতে আশ্রয় গ্রহন করবেন। তিনি সেখানে থাকাবস্থায় জীবনধারণোপযোগী খাদ্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবেন। এমন সময় ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে।
  সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ৯৪)

বাকি পর্ব গুলো পড়ুন



Comments