রুমান ফেরেস্তার কবরে প্রবেশ।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা আমি নবী করীম (সাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মোনাকার নাকীরের পূর্বে কোন ফেরেশ্তা কবরে আসবেন কি? হুযুর (সাঃ) এরশাদ করলেন , হে ইবনে সালাম! সূর্যের ন্যায় উজ্জ্বল রুমান নামে এক ফেরেস্তা তাদের পূর্বে কবরে এসে মৃত ব্যক্তিকে জাগ্রত করবেন এবং তাঁর ভাল- মন্দ কার্যাদি লিপি বদ্ধ করতে বলবেন। তখন মৃত ব্যক্তি বলবে- আমি কি দিয়ে লেখব? আমার কাছে খাতা -কলম কিছুই তো নেই।
মডার্ন টেকনোলজি www.technologyrbd.blogspot.com
রুমান ফেরেস্তার কবরে প্রবেশ।


ফেরেস্তা বলবে, আঙ্গুলকে কলম, মুখকে দোয়াত আর থুথুকে কালি স্বরূপ ব্যবহার করো। বান্দা বলবে, কাগজ কোথায়? ফেরেস্তা কাফনের কিছু অংশ ছিঁড়ে দিয়ে বলবেন, এতে লেখা। তখন বিনা দ্বিধায় সৎকর্ম সমূহ লেখে দিবে। কিন্তু পাপ সমূহ লেখতে লজ্জাবোধ করেনি আর আজ আমার সম্মুখে তা লেখতে লজ্জিত হচ্ছ? এ বলেই প্রহার করতে উদ্যত হবেন। তখন সে ব্যক্তি বলবে, আমাকে প্রহার করবেন না । আমি সব লেখে দিচ্ছি। ফেরেস্তা ঐ লিখিত আমলনামা মোহরাঙ্কিত করে দিতে বলবে। বলবে, সীলমোহর বলতে কোন বস্তু আমার কাছে নেই আমি কি দিয়ে এ কাজ করব? ফেরেস্তা বলবেন, তোমার নখ দিয়ে এ কাজ সমাধান কর। সে তাই করবে। তখন ফেরেস্তা ঐ আমলনামায় কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর গলায় ঝুলন্ত অবস্তায় থাকবে। এ মর্মে রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেনঃ
উচ্ছারনঃ  ওয়া কুল্লা ইনসানিন আলজামনাহু তায়িরাহু ফী উনুকিহি।
অর্থঃ  এবং আমি মৃতের গলায় তাঁর আমলনামা লটকানোর ব্যবস্থা করেছি। এই ফেরেস্তা প্রস্থান করার পর পরই মোনকার নাকীন কবরে আসাবেন। কেয়ামতের দিন যখন সে ব্যক্তি ওই আমলনামায় পড়তে বাধ্য হবে, তখন সে শুধু পুণ্যের অংশ পাঠ করে চুপ থাকবে। আল্লাহ এর কারন জিজ্ঞেস করবে, রাব্বুল আলামীন! বাকী অংশ পাঠ করতে আমার লজ্জা হচ্ছে। আল্লাহ্‌ তাআলা বলবে, পাপ করার সময় তোমার লজ্জা কোথায় ছিল? তখন বান্দা নিরুত্তর থাকবে। কিন্তু কোন কাজ হবে না। তখন আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে বেড়ি পরিয়ে দোযখে নিক্ষেপ ক্রার নির্দেশ দিবেন।


 সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ৬৪-৬৫)

বাকি পর্ব গুলো পড়ুন

Comments