ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয় ও তাদের আবির্ভাব

ইয়াজুজ মাজুজ হযরত নূহ (আঃ)- এর পুত্র ইয়াফেসের বংশধর। পৃথিবীর উত্তর-পূর্ব সীমান্তএ এদের বাসস্থান। এদের বাসস্থানের উত্তরে সুর সাগর। এ সাগরের পানি অত্যান্ত শীতল। সর্বদা পানি জমে বরফ হয়ে থাকে, এজন্য জাহাজ চলাচল করতে পারে না। তাদের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে প্রাচীরের ন্যায় দূ'টি বিরাট পর্বত রয়েছে। কাজেই এদিক দিয়েও যাতায়াতের কোন পথ নেই। এ দুটি পরবতের মধ্যস্থলে একটি ঘাঁটি ছিল। সেখান দিয়ে ইয়াজুজ-মাজুজ্রা বের হয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহে লুটতরাজ করত। তাদের ঘাটির এ রাস্তাটি বাদশাহ জুলকারনাইন এমন একটি লৌহর প্রাচীর দ্বারা বন্ধ করে দিয়েছেন, যারা উচ্চতা উক্ত পরবতদ্বয়ের সমান ও প্রশান্ততা ষাট গজ। ইয়াজুজ- মাজুজের তা অতিক্রম করার সাধ্য হবে না। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-

ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয় ও তাদের আবির্ভাব
ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয় ও তাদের আবির্ভাব


উচ্চারণঃ- ফামাসতাতোআঊ আইইয়াযহারূহু ওয়ামাসতাতোআঊ লাহু নাকবা।
অর্থঃ- অতঃপর ইয়াজুজ-মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেদ করতেও সক্ষম হল না। -(সূরা কাহফা,আয়াত ৭৯)
তাফসীরে আছে, ইয়াজুজ-মাজুজ সদলবলে সর্বদা উপরে উল্লিখিত প্রাচীন ভঙ্গের কাজে লিপ্ত আছে। কিন্তু আল্লাহ্‌র কুদরতে তারা সারাদিন যতটুক ভঙ্গে রাত তা যেমন ছিল তেমন হয়ে যায়। এভাবে চলে আসতে এবং চলতে থাকবে। অবশেষে হযরত ঈসা (আঃ)-এর আসমান হতে অবতরণ ও হযরত ইমাম মাহদীর ইন্তেলার পর এক সময় আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তারা উক্ত প্রাচীর ভেঙ্গে বের হয়ে আসতে সমর্থ হবে। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষণা নিম্নরূপ-
উচ্চারণঃ- হাত্তা ইযা ফুতিহাত ইয়া-জুজ ওয়া মা-জুজ ওয়া হুম মিন কুল্লি হাদাবিই ইয়ানসিলুন।
অর্থঃ- যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে।-(সুরা আম্বিয়া-৯৬)

  সূত্রঃ (মৃত্যুর আগে ও হাসরের পরে, পৃঃ ৯৪-৯৫)

বাকি পর্ব গুলো পড়ুন

Comments